আদর্শ সদর উপজেলার চম্পক নগর এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের পুকুরে নেমেছে শীতের পাখি। তাদের কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত চারপাশ। সরেজমিনে দেখা যায় কিছু পাখি পুকুরে ভাসছে, পাশাপাশি কচুরিপানার ফাঁকে খাবার সংগ্রহ করছে।
পুকরের মালিক গাজী রিয়াজ মাহমুদ জানান, গত তিন বছর ধরে অতিথি পাখিদের অভয়াশ্রম হয়ে উঠেছে এ পুকুরটি। পাখিগুলোর কেউ যেন ক্ষতি না করতে পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখেন তিনি।
অতিথি পাখিতে মুখরিত ফরিদপুরের নুরপুর বিল
ওয়াইল্ড ওয়াচ ইনফো কুমিল্লার পরিচালক জামিল খান বলেন, কুমিল্লা নগরীর ধর্মসাগর ও ছোটরা জলায় আগে অতিথি পাখি নামলেও, পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় সেখানে এখন পাখি দেখা যায় না।
‘শীতপ্রধান দেশের পাখিরা অতিথি হয়ে আসে আমাদের দেশে। উষ্ণতার আশায় হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসে তারা, খুঁজে নেয় নির্জন স্থান, জলাশয় ও বনাঞ্চল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো, অতিথি পাখি এ দেশে অতিথি হয়ে থাকতে পারছে না। শিকারির হাতে তারা ধরা পড়ছে। পাখি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। কুমিল্লার পুকুরগুলোতে পাখি নামার পরিবেশ করে দেয়া উচিত,’ বলেন তিনি।
অতিথি পাখির কলরবে মুখর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক অমিতাভ কুমার বাড়ৈ জানান, সাইবেরিয়া, রাশিয়া, ফিনল্যান্ড ও তিব্বতের উপত্যকা অঞ্চল থেকে প্রতিবছর অতিথি পাখি আসে। পাখিগুলোর মধ্যে রয়েছে বালিহাঁস, রাজহাঁস, মানিকজোড়, গাংকবুতর, চিনাহাঁস, নাইরাল ল্যাঙ্গি, ভোলাপাখি, হারিয়াল, বনহুর, বুরলিহাঁস ও সিরিয়া পাতিরা প্রভৃতি।
‘পাখি আবর্জনা খেয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। এছাড়া এর মলে ফসফরাস রয়েছে, যা সবজি উৎপাদনে সহায়ক। পাখি রক্ষায় সবার ভূমিকা প্রয়োজন,’ বলেন তিনি।
বাঁশি ব্যবহার করে অতিথি পাখি শিকার!